Sunday, 12 June 2022

আমি আমার স্ত্রী কে সন্দেহ করি

আমি আমার স্ত্রী নীলা কে সন্দেহ

করি। কিন্তু কোন প্রমাণ পাচ্ছি না। তাই বাসার সিসি ক্যামরা লাগিয়েছি। 
ব্যাপারটা শুনতে অদ্ভুত লাগছে। কিন্তু তাও আমাকে পরিবারের জন্য এইটা করতে হচ্ছে৷ 
নীলাদ্রীকে আমি ভালোবেসেই বিয়ে করেছি। তিন বছর প্রেম করে অনেক যুদ্ধ শেষে বিয়ে। কিন্তু আমি সংসারের জন্য দিনরাত কাজ করতে করতে আর  বড় ছেলেটা আর ছোটো মেয়েটা হওয়ার পর ভালোবাসা বলতে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে ভালোবাসি বলাতেই আটকে রইলো।

নীলাকে এখন আমি চিনতে পারি না। কি খিটখিটে আর  ঝগড়াটে হয়েছে। কথায় কথায় খোটা দিয়ে কথা বলা সারাক্ষন রাগ যেন নাকের উপর৷ প্রায় দেখি সন্ধ্যা অবধি চুল ভেজা। জিজ্ঞেস করলে বলে কাজ করতে দেরীতে স্নান। কি এমন কাজ ঘরে? 

মা বাবা আর দুইটা বাচ্চা।  ভাব এমন যেন মায়েদের মতো পনেরো বিশ জনের কাজ করছে।  কোন কাজ ঠিক মতো করে না। একটা জিনিস পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে শার্ট অবধি আয়রণ করা পাওয়া যায় না। রান্না কোন দিন ঝাল, তো কোন দিন লবণ নেই। 
সারাদিন অনলাইন দেখা যায়৷ জিজ্ঞেস করলে বলে একবার হয়ত ডুকি আর অফ করা হয় না। তাই আমার সন্দেহ লাগে। তাই কাল চুপি চুপি সারাঘরে ক্যামরা লাগিয়েছি৷ অফিস থেকে বসে দেখবো। 

আমি মনিটর অন করলাম। ফাইল গুলো নিয়ে চোখ বুলাচ্ছি। নীলা এখন রান্নাঘরে সকালে নাস্তার পরে থালাবাসন গুলো পরিস্কার করছে। ফাইল থেকে চোখ তুলতেই দেখি নীলা বেড়রুমে বিছানা গুছিয়ে রাখছে সব রুমের৷  অনিন্দ স্কুলে গিয়েছে। দুই বছরের মেয়ে টিয়া তখনো ঘুম। 

টিয়ার জন্য চুলায় খাবার বসিয়ে রুটি সবজি নিয়ে বসলো । আমরা তো অনেক আগে করেছি নীলা এখন নাস্তা করছ।  সাথে মোবাইল নিয়ে অনলাইন ঢুকল। আমি এইবার নড়েচড়ে বসলাম। এইবার বুঝি ধরা খেলো বাচাধন। 

রুটি কিছুটা মুখে দেওয়ার সাথে সাথে টিয়া উঠে গেলো৷ টিয়ার কাছে গিয়ে ওকে অনেকক্ষন আদর করে ঘুম থেকে তুলে নিলো। টিভির সামনে বসিয়ে দিলো একবার ওর খাবারটা খাচ্ছে আবার রান্না ঘরে টিয়ার খাবার টা রেডি করছে।  
টিয়াকে খাওয়াতে নিলো । টিভি দেখছে, দৌড়াচ্ছে। কত কিছু করছে। কিন্তু তখনো অনলাইন দেখাচ্ছে নীলাকে কিন্তু ও বাচ্চার পিছনে ছুটছে। 

আমি কাজ করছি আর মনিটরে চোখ বুলাচ্ছি। মেয়ের খাবার শেষ হলো এক ঘন্টায়। নীলা আমার কালকের শার্ট প্যান্ট ছেলের ড্রেস, মেয়ের অনেকগুলো ছোট ছোট ড্রেস সব তুলছে। বাথরুম নিয়ে সব সবান পানিতে রেখে আবার রান্না ঘরে।  ফ্রিজ থেকে মাছ মাংস নামিয়ে মাকে বলল তরকারী কেটে দিতে। ভাত আর টিয়ার জন্য খিচুড়ি তুলে দিয়ে একটা কাপড় নিয়ে ঘরে সব ফার্নিচার  পরিস্কার করছে। তখনো অনলাইন শো করছিল নীলাকে। মোবাইলে চোখ গেলে এসে ডাটা অফ করে৷ কাজ করছে আবার রান্না ঘরে গিয়ে রান্না দেখছে৷ 
চুলায় একদিকে তরকারী দিলো খুব দ্রুত আবার পেয়াজ কেটে চুলায় দিচ্ছে।  আবার মাংস কাটছে। 
তখন বাবা এসে বলল-
- চা দাও তো একটু কড়া করে। আর একটু নাস্তা দাও৷ 
নীলা চুলায় তরকারী নাড়ছে আবার বাবাকে খাবার দিচ্ছে। 
নীলা আবার ছুটছে টিয়া পিছনে ফ্রুটস খাওয়াচ্ছে। এরপর বাথরুমে গিয়ে কাপড় সব ধুয়ে শুকাতে দিলো। নীলা পুরো ভিজে গিয়েছে কিন্তু স্নান করে নি। এত দ্রুত কাজ করছে কেন? 
নীলা রান্না শেষ করে সব গুছিয়ে ফেলেছে। তখন মা এসে বলল -
-বেগুন ভর্তা করিও তো শুটকি দিয়ে। 
নীলা মায়ের দিকে তাকিয়ে রইল কিন্তু কোন কিছু বলল না। হঠাৎ আমার ব্যাপারটা চোখে লাগলো। নীলা রাগ ও দেখালো না। এইটা হয়ত প্রতিদিন চলতে চলতে নীলার রাগ হয়ত আগে করতে এখন থেতো হয়ে গেছে। অসহায় লাগছে। নীলা আবার মেয়ের খাবার নিয়ে ছুটছে। কি দুষ্টমি যখন খাচ্ছে না তখন একটা থাপ্পড় দিলো, তখন মা এসে নীলাকে উল্টা বকা দিয়ে টিয়াকে নিয়ে গেলো। খাবার রয়ে গেলো।
নীলা একটু চা খেতে নিলো তখন টিয়া আবার কান্না ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো। 

 নীলা চুলায় বেগুন আর শুটকি দিয়ে ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে। তখন অনিন্দকে স্কুল থেকে নিয়ে এলো বাবা। অনিন্দ এসে শুরু করলো দুষ্টমি। নীলা অনিন্দ আর টিয়াকে স্নান করাতে নিলো। যেন যুদ্ধ করছে। আবার এইদিকে রান্নাঘরে ভর্তার জন্য দেওয়া বেগুন প্রায় পুড়ে গেছে। 

নীলা ঘর মুছতে নিলো। রান্নাঘরে গিয়ে ভর্তা করছে আবার ঘর মুছতেছে। বাচ্চাগুলো টিভি দেখা নিয়ে মারামারি করছে। নীলার পরিস্কার করা ঘরে  আবার ময়লা করছে। নীলা ওদের বকাবকি করছে। বাসায় থাকলে আমি উল্টা নীলাকে বকা দিই ওদের কিছু বললে। অদ্ভুত ব্যাপার এখন আমার স্বাভাবিক লাগছে।নীলার জায়গায় আমি হলে আরো বেশি রাগ করতাম মনে হচ্ছে। নীলা ঘর মুছে, বাথরুম গুলো পরিস্কার করছে। তখন প্রায় দুইটা। 
বাবা ভাত চেয়ে যাচ্ছে। মা কিন্তু টিভি দেখছে তখন। নীলাকে ক্লান্ত লাগছে। নীলা এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার রান্না ঘরে গিয়ে ভাত তরকারী সব এনে টেবিলে রাখলো। বাচ্চাদের জন্য খাবার নিচ্ছে। বাবা চিৎকার করছে,
- ভাত দিছো পানি কে দিবে? গলায় ভাত লাগিয়ে মারতে চাও নাকি? আগে পানি দিবে। 
নীলা আবার দৌড়ে এসে ফিল্টার থেকে পানি নিয়ে দিলো। এইটা তো বাবাও করতে পারতো। 
আমার আবার কেমন যেন লাগছে বুকে। আমি কি করি কখনো এই কাজ টা। 

নীলা টিয়াকে খাওয়াচ্ছে। অনিন্দকে বাবা মায়ের সাথে খেতে দিলেও ও খাচ্ছে না। নীলা টিয়াকে চেপে ধরে কোন মতে কার্টুন দেখিয়ে খাওয়াচ্ছে। আবার অনিন্দকে খাটের উপর থেকে ব্যালখনি থেকে ধরে এনে পিঠে একটা দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে।

বাচ্চারা যখন খাচ্ছে না। নীলা অসহায় ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে। কারো দিকেই না। কিন্তু নীলা বিরক্ত ও না রাগেও না। কেমন যেন। 
  নীলা এখনো কিছু খায় নি। তাও বাচ্চাদের পিছনে ছুটছে। তখন মা বাবা নীলাকে আবার বকাবকি করছে। 
- মাছে ঝাল বেশি হয়েছে, ভাত আরেকটু ফোটাতে পারো না শক্ত থেকে যায়, বেগুন ভর্তায় তো লবণের ছিটেফোঁটা নাই।

-সারাদিন কোন কাজ নাই। টিভি দেখো মোবাইল চালাও আর দুইটা রান্না আরকি। খাওয়া সময়ও যদি ঠিক মতো খেতে না পারি কেমন লাগে? 

নীলাকে চরম বিরক্ত দেখাচ্ছে কিন্তু কিছু বলছে না। তখন ও বাচ্চাদের আরো জোরে জোরে থাপ্পড় দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে। 

সবার খাওয়া শেষে নীলা সব থালা বাসন তুলে পরিস্কার করল।  বাচ্চাদের আরো কাপড় হয়েছে সেগুলো ধুয়ে শুকাতে দিলো। ব্যালখনির চারাগুলোর যত্ন করে নিজে স্নান করতে গেলো। ওমা নীলা দশ মিনিটে বের হয়ে গেলো। নীলা খেতে বসলো তখন প্রায় সাড়ে তিনটা।  নীলা আবার মোবাইল হাতে নিলো। কিছুক্ষন ফেসবুক চালিয়ে ওর মায়ের সাথে কথা বলছে। নীলা ভাত খাচ্ছে তখন বাবা এসে টিয়াকে দিয়ে গেলো বাবা ঘুমাবে। টিয়া বিরক্ত করছে তাও খেয়ে নিলো। 
নীলাকে এখন ভীষণ ক্লান্ত লাগছে কিন্তু রেস্ট নিতে পারছে না। টিয়া ঘুমাচ্ছে না। টিয়া ঘুমালো ৫ টার দিকে। 
অনিন্দ তখন কি যেন ভেঙে ফেলেছে। ওটা পরিস্কার করে আবার শুয়ে পড়ল। সাড়ে পাচ টায় বাবা আবার চা চাইছে। মা চিৎকার করছে,
-এতক্ষন কিসের ঘুম? ঘরের বউ এতক্ষন ঘুমালে  ঘর তো লক্ষীছাড়া হবে৷ 

নীলা উঠতে পারছে না। পা রাখতে পারছে না।  তাও উঠে আবার ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে বাবাকে চা দিলো। সবার জন্য নুডুস বানিয়ে আমার জন্য কিছুটা রেখে দিলো। অনিন্দকে পড়াতে বসেছে আর বার বার বাইরের দিকে দেখছে। হয়ত আমার অপেক্ষায়। 
তখন আমার বুকটা আবার থম দিয়ে উঠল। অফিস থেকে বের হওয়ার আগে দেখলাম শার্ট আয়রন করছে।  তারপর শুয়ে আছে। কোমর ধরেছে। 

বাসায় ফিরে এলাম। আজ নীলার সাথে চোখ মেলাতে পারছি না।  কিন্তু এইটা নীলা  দশ বছর ধরে করে আসছে। কত দিন হিসাব করলে আমি নীলার সামনে দাঁড়াতেই পারব না।
পরের দিন ও সেইম রুটিন নীলার।  কোন দিন আরো বেশি। মাঝে মাঝে টিয়াকে কোলে নিয়ে কাজ করে। কারো সাথে মোবাইল কথা বললে সেটায় ওর কথা। সারাদিন আর কার সাথেই বা কথা ওর। আমিও তো দরকারি ছাড়া পাশে বসে কখন গল্প করেছি ভুলে গিয়েছি। 

এইভাবে তিন চার দিন দেখার পর নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগছে। কত আদরের মেয়ে ছিলো নীলা।  দশটায় ঘুম থেলে উঠে ভার্সিটি যেতো। আমার সাথে দেখা করতে এলে কত সেজে গুজে আসতো,  অনেক লম্বা চুল ছিলোম, যত্ন করতো, আর এখন। আমার ঘর আমার সন্তাদের জন্য তো কোন শখ ওর নেই। আর আমি ওকে ভালোবাসতেই ভুলে গেছি। 

তখন আমার কলিগ শফিক সাহেব এলো। ওনাকে বললাম, 
-শফিক ভাই,  আপনার মিসেস তো জব করে,ঘরের কাজ বাচ্চা আপনার মা বাবা কে দেখে? 
- আমার মিসেস অনেক করে ভাই, সকালে উঠে রান্না টা করে আসে। দুইটা কাজের মেয়ে আছে। একটা বাচ্চা দেখে আর একটা ছুটা কাজ করে। মা বাবা অসুখ বিসুখ হলে ঝামেলায় পড়ি। নার্স আনতে হয়। বাচ্চাটা সবে স্কুলে দিয়েছি তার জন্য ও টিচার আছে। 
- বেতন কেমন তাদের? 
-ওরে বাবা, সেটা বলিয়েন না ভাই, ছুটা বুয়ার বেতন ২০০০ টাকা, পার্রমেন্টটা ৫০০০ টাকা। টিচার ৩০০০ টাকা। নার্স আনলে তো ডেইলি ১২০০  টাকা। 
আপনার তো ভাই সেসব খরচ নেই। সব একা মিসেসেই করে ফেলে। 
আর আমরা ছুটির দিনে প্রায় ঘুরতে যায়। মিসেস সারা উইকেন্ডে কাজ করে রিলেক্স চায়। সেটাও একটা খরচ। 

তারপর ভাই মেয়েদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। আমার মিসেস সারাদিন কাজ করে আবার ঘরে সব দিকে নজর। কাজের মেয়েটাকে আসলেই ধন্যবাদ এত কিছু সামলাই। 

আমার নিজেকে এখন অপর্দাথ মনে হচ্ছে। টাকা দিয়ে কাজ করানো কাজের মেয়েকেও ধন্যবাদ দেওয়া যায় কিন্তু সব কিছু বির্সজন দিয়ে সে এত বছর ধরে আমার সংসার বিনা বেতনেই কাজ করে যাচ্ছে তাকে কখনো কি আমি ধন্যবাদ দিয়েছি একটা? 

এখন আমি টুকটাক কাজ করে দিই নীলাকে। নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে ফেলি। নীলাকে বলি 
-আগে তো কত সেজে থাকতে। যত্নে করতে এখন করো না কেন?
-আগে তো দেখার মানুষ ছিলো এখন আছে নাকি? 
-আমাকে বলো কি কি লাগবে এনে দিবো। 
নীলা ভ্রু কুচকে তাকায়। আবার মিষ্টি হাসে। 

খাওয়া দাওয়ার আগে টেবিলটা ঠিক করে রাখি পানি নিয়ে রাখি। মাঝেমধ্যে ফার্নিচার গুলো আমিই মুছে রাখি। খাওয়া শেষে নীলা যখন থালাবাসন পরিস্কার করে আমি তখন টেবিলটা গুছিয়ে ফেলি। নীলাকে বলেছি তোমাকে আর আয়রন করতে হবে না। ছুটির দিনে আমি দোকানে দিয়ে আসবো। 
-টাকা?
- সপ্তাহে ছয়টা শার্ট আয়রন করতে যত টাকা লাগবে তত টাকার তো আমি একবারের চা নাস্তা খাই। 

খেয়াল করলাম আমার ছোট্ট ছোট্ট কাজে নীলার কাজের অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। নিজের যত্ন করে৷ এখন অত রাগারাগিও করে না। আমি ফোন দিয়ে তারাতারি খেয়ে নিতে বলি। এইটা করতে আমার  সময় ব্যয় হয় না। কিন্তু নীলাকে দেখি আয়নায় সামনে গিয়ে একটু হাসে। তখন আমার বুকের থম ধরা ভাবটা একটু কাটে। 

কেন ক্যামরা লাগিয়েছিলাম নিজেই ভুলে গেছি। এত কিছুর মধ্যে আমি নীলাকে কত সময় দিয়েছি। যা সন্দেহ করেছি তা যদি ঠিক ও হতো দোষটা কি আমার হতো না? 
 আরেক ছুটির দিনে সব ক্যামরা খুলে ফেলি। নীলাকে সব বলি। নীলা বলে - কি পেলে তো? 
- তোমাকে খুজে পেলাম আবার,  আমার ঘরের বউ আর বাচ্চার মা নয়। নীলা হিসেবে তোমায় পেলাম। 
ধন্যবাদ তোমাকে নীলা। 
-কেন? 
- এই যে এত কিছু করো আমাদের  সংসারের জন্য। 
- ধন্যবাদ তোমাকে আকাশ। আমার মতো হাজারো নীলা তো প্রতিটি ঘরেই আছে। যারা সবটা দিয়েই সামান্য ধন্যবাদ আশা রাখেনা। কিন্তু তোমার মতো দেরীতে হলেও কয় জনে সেটা বুঝতে পারে বলো তো? 

- তাই? তা তোমাকে ধন্যবাদ হিসেবে জামদানী দিবো ভাবছিলাম। তাহলে লাগবে না মনে হয়।  হি হি হি। 

- ওমা। কেন লাগবে না?  আর আমি তোমাকে ধন্যবাদ হিসেবে তিতা করলার রস খাওয়াবো কাল থেকে। 
 তোমার পেট বেড়ে যাচ্ছে। 
-এমা,  না না। 

নীলা তখন উচ্চস্বরে হেসে উঠল। ঠিক আগের প্রেমিকার মতো। ও তো প্রেমিকায় রয়ে গেছে শুধু আমি প্রেমিক হতে ভুলে গেছি। 

নীলা হাসছে, তার সাথে হাসছে ঘরের দেওয়াল টা, ছবির ফ্রেমটা দেখি দুলে দুলে হাসছে, বারান্দার সিল্কের পর্দাটা খুব জোরে বাতাসে দুলছে। বারান্দার নয়নতারা ফুলের গাছটা হাওয়ার ঝোকে হাসছে নীলার হাসির সাথে। 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটা সুন্দর মতামত দিন