Sunday, 12 June 2022

শরীলের ভিতরে কেনো পানি জমা হয়

 শরীরে কেন পানি আসে

 পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে:

মানুষের শরীরে পানি আসার একটি অতি সাধারণ কারণ হচ্ছে কম পানি পান করা। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের লেভেল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে পানি জমে। এর অর্থ এই নয় যে আপনি মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করবেন। এর ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের  দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট।



 
একটানা বসে থাকলে:

অনেক বেশি সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে আমাদের শরীরে রক্ত সংবহন কম যায়। আর রক্ত সংবহন কমে যাওয়ার ফলে শরীরে পানি জমতে পারে। এটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক সক্রিয়তা। একাধারে অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি ২-৩ ঘন্টার মধ্যে ওয়াশরুমে ঘুরে আসুন অথবা একটু হাঁটাহাঁটি করুন অথবা একটু দাঁড়িয়ে থাকুন।

অতিরিক্ত লবণ:

অত্যধিক লবণ খাওয়া শরীরে পানি জমার আরেকটি অন্যতম কারণ। সোডিয়াম পানিকে আবদ্ধ করে ফেলে এবং শরীরের কোষের ভেতরের ও বাহিরের তরলের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারের সাথে বাড়তি লবণ গ্রহণের অভ্যাস এখুনি বাদ দিন।

ম্যাগনেসিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। শরীরের অতিরিক্ত পানি জমার সমস্যাটি কমানো যায় ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে। গবেষণায় জানা যায় যে, দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে মেয়েদের শরীরে পানি আসার সমস্যা কমে। বাদাম, ডার্ক চকলেট, হোল গ্রেইন ও সবুজ শাকসবজিতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা:

কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন- কিডনি রোগ, হৃদরোগ, লিভার ইনফেকশন, ব্রেইন টিউমার ইত্যাদির কারণেও এডিমা (শরীরে পানি আসা) হতে পারে।

 ওষুধের প্রতিক্রিয়া:

কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলোর প্রতিক্রিয়ার ফলেও শরীরে পানি জমতে পারে। যেমন- “হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ এম্লোডিপিন” সেবনের ফলে পানি আসতে পারে শরীরে। এছাড়াও নন স্ট্যারয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ওষুধ, কর্টিকোস্ট্যারয়েডস, বার্থ কন্ট্রোল পিল এডিমা (শরীরে পানি আসা) সৃষ্টিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে।

 আর হ্যাঁ, এই লেখা দেখা মাত্রই কোন ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া একদমই উচিত নয়, যেকোন ওষুধ বাদ দেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর বাদ দিন।

আপনার যদি এই ধরণের কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরার্শ নিন যতদ্রুত সম্ভব।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটা সুন্দর মতামত দিন