Saturday, 4 June 2022

মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ছেলের জন্ম দিলেন পঞ্চগড়ে

মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ছেলের জন্ম দিলেন পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী রাস্তার ধারে বালির ঢিবিতে সন্তান প্রসব করেছেন। ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নিয়েছে তার।

শনিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জগদল বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে মহাসড়কে ঘুরতে ঘুরতে প্রসব ব্যথা ওঠে তার। পরে বুঝতে পেরে রাস্তার ধারে আশ্রয় নেন ওই নারী।

পরে পাশের এক বালির ঢিবিতে দিয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি।

মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (২৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার বসবাস করেন।

 

শনিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জগদল বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে মহাসড়কে ঘুরতে ঘুরতে প্রসব ব্যথা ওঠে তার। পরে বুঝতে পেরে রাস্তার ধারে আশ্রয় নেন ওই নারী।

পরে পাশের এক বালির ঢিবিতে দিয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি।

মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (২৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার বসবাস করেন।


তার স্বামী একজন ভ্যান চালক।

জানা গেছে, ওই নারী স্বামীর বাড়ি থেকে এদিকে সেদিক ঘোরাফেরা করতেন।

গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে দেখভালের জন্য বাবার বাড়িতে রাখা হয়। এর মধ্যে আজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান ওই নারী।

সন্তান জন্ম হওয়ার পর নবজাতকের কান্নায় স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে ঘিরে ধরে সেল্টার দেয়।

পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে সদস্যরা মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই নারীকে সন্তান প্রসব করতে দেখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাব্বির হোসেন। তিনি ওই প্রসূতিকে সন্তানসহ মাটিতে গড়াগড়ি করতে দেখে অন্যান্যদের ডেকে প্রাথমিক সহায়তা ও কাপড় দেন। লোকে যাতে না দেখে ফেলে, সে কারণে ওই নারীকে কাপড় দিয়ে ঢেকেও দেন তারা। পরে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে সদস্যরা দ্রুত এতে মা ও শিশুকে নিয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই নারীর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। তারা হাসপাতালে আসার পর জানা গেছে, ৭ মাস আগে তাদের মেয়েকে বাড়ি দিয়ে যান জামাই। যত্ন আত্তি করা হচ্ছিল। কিন্তু কেউকে কিছু না বলে আজ সকালে তাদের মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।



পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সন্তান প্রসবের পর ব্যথায় গড়াগড়ি করার কারণে নবজাতকের নাকে ও মুখে বালু ঢোকে। হাসপাতালে আনার পর তা পরিষ্কার করা হয়। চিকিৎসার জন্য ইউনিটে ভর্তি আছেন দুজনই। এখন সন্তান ও মা দুজনই ভালো আছেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটা সুন্দর মতামত দিন